Tital

Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

রবিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৪

চাকরির সিভিতে রেফারেন্স দিতে গিয়ে যে ৫টি ভুল হয়...

তীব্র প্রতিযোগীতাপূর্ণ চাকরির বাজারে নিজেকে উপযুক্ত প্রমাণ করতে শুধু পেশাগত দক্ষতাই আজ আর যথেষ্ট নয়। ইন্টারভিউ বোর্ডে ডাক পাওয়ার জন্য নিখুঁত ও পরিচ্ছন্ন সিভি বা জীবনবৃত্তান্ত খুবই প্রয়োজনীয়। চাকরিপ্রত্যাশী প্রত্যেকেই তার জীবনবৃত্তান্তে রেফারেন্স ব্যবহার করে থাকেন। খুব যত্ন করে তৈরি করা
জীবনবৃত্তান্তটিতে রেফারেন্স সম্পর্কিত কিছু ত্রুটির কারণে প্রয়োজনীয় দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও আপনি নাও পেতে পারেন চাকরিটি। জীবনবৃত্তান্তে সাধারণত রেফারেন্স উল্লেখ করতে গিয়ে যে ৫টি ভুল হয় সেগুলো হলো জেনে নিন।


১. অনুমতি না নিয়ে নাম ব্যবহার
জীবনবৃত্তান্তে রেফারেন্স হিসেবে কারো নাম দেওয়ার আগে তার অনুমতি নেওয়া একটি পেশাদার শিষ্টাচার। অনুমতি নিয়ে রাখলে তিনি ভবিষ্যতে কোন ফোনকলের জন্য প্রস্তুত থাকেন। না জানিয়ে জীবনবৃত্তান্তে রেফারেন্স হিসেবে কারো নাম ব্যবহারের ফলে হঠাৎ কোন কল পেয়ে রেফারেন্স যদি অবাক হন বা তার উত্তরে যদি কোনো ধরনের দ্বিধা থাকে তবে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের লোকেরা আপনাকে অপেশাদার হিসেবে গন্য করবেন। তাই রেফারেন্স হিসেবে কারো নাম ব্যবহারের আগে তাকে জানিয়ে রাখুন।

২. সঠিক রেফারেন্স ব্যবহার না করা
রেফারেন্স হিসেবে সঠিক নামের ব্যবহার প্রসঙ্গে জুলি ক্লিন নামের একজন মানবসম্পদ বিষয়ক পরামর্শকারী বলেছেন, 'আমি একবার একজনকে দেখেছিলাম রেফারেন্সে তার মায়ের নাম ব্যবহার করতে। আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না ঐ চাকরিপ্রার্থীর মাকে কি জিজ্ঞাসা করা উচিত- সে নিজের কাজ ঠিক মতো করে নাকি সে আপনার ঠিকমতো কথা শোনে?'
রেফারেন্স হিসেবে যদি আপনি এমন কারো নাম দেন যে আপনাকে ঠিকমতো চেনে না বা আপনার সম্পর্কে খুব বেশি একটা জানে না তবে চাকরিদাতারা আপনার বিচার-বুদ্ধি, পেশাদারী নেটওয়ার্কিং ক্ষমতা ও অতীতের কর্মদক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন। আবার আপনি যদি চান, চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান আপনার আগের ম্যানেজারের সাথে কথা না বলুক সেটির ফলও খুব একটা ভালো হবে না। কারণ এতে করে আপনার নিয়োগকর্তা ভাববেন, আপনার আগের ম্যানেজার আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক কিছু বলতেন কি না। সুতরাং রেফারেন্স ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করুন।

৩. রেফারেন্সে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব
জীবনবৃত্তান্তে আপনি রেফারেন্স হিসেবে যার নাম ব্যবহার করছেন, তার সাথে যোগাযোগের জন্য পর্যাপ্ত তথ্য যদি আপনি না দিয়ে থাকেন, তবে চাকরিটা হারানোর সম্ভাবনা আছে। এমনটাই বলছেন- কল টু কেরিয়ারের স্বত্বাধিকারী চেরিল পালমার। তিনি আরো বলেছেন, রেফারেন্স শিটে ফোন নম্বর তো দেবেনই কিন্তু এর সাথে ই-মেইল ঠিকানা ও স্কাইপ ঠিকানা দিয়ে দেওয়াও উচিত। কারণ, আপনার রেফারেন্স যদি দেশের বাইরে থাকেন সে ক্ষেত্রে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান এসব উপায়ে তার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে। এছাড়া যোগাযোগের বিভিন্ন উপায় দিলে তা দ্রুত কাজ শেষ করতে সহায়তা করে।
প্রয়োজনের সময়ে যাতে আপনার রেফারেন্সকে পাওয়া যায় তা নিশ্চিত করুন। এ প্রসঙ্গে ফর্টিফাইড কমিউনিকেশন কনসাল্টিং-এর সভাপতি অ্যানাসটাসিয়া কিউরিলো একটি ঘটনার কথা বলেছেন- তিনি একবার এক চাকরিপ্রার্থীর রেফারেন্সের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিল না। তিনি হয়তো ছুটিতে ছিলেন। কিন্তু কিউরিলোর হাতে বেশি সময় ছিল না। পরে তিনি অন্য রেফারেন্স ব্যবহার করে ঐ চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ দেন এবং প্রার্থী নিজেকে ঐ চাকরির জন্য উপযুক্ত প্রমাণ করে। কিউরিলো বলেছেন, আর একটু হলেই আমরা তাকে হারাতাম।

৪. রেফারেন্সের সঙ্গে দূরত্ব
আপনি হয়তো রেফারেন্স হিসেবে এমন কারো নাম দিয়েছেন যার সাথে আপনি অনেক দিন আগে কাজ করতেন। তিনি হয়তো জানেনই না আপনি এখন কি করছেন? আপনার চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের লোকেরা যদি ভাবে যে, রেফারেন্স হিসেবে যার নাম আপনি ব্যবহার করেছেন তার সাথে আপনার খুব একটা ভালো সম্পর্ক নেই, তবে তারা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন।

৫. পরিষ্কার ধারণা না নিয়ে রেফারেন্স ব্যবহার করা
রেফারেন্স হিসেবে আপনি যার নাম ব্যবহার করেছেন, আপনার সম্পর্কে তার ধারণা কেমন- এ ব্যাপারে নিশ্চিত না হয়ে কারো নাম ব্যবহার করাটা ঠিক হবে না। এ উপদেশ দেওয়ার সাথে সাথে পালমার আরও বলেছেন- চাকরিদাতা আপনাকে কোনো প্রস্তাব দেওয়ার আগে শেষ পদক্ষেপ হিসেবে আপনার রেফারেন্সের দিকে নজর দেবে। রেফারেন্স আপনার সম্পর্কে কী বলছেন এ বিষয়ে আপনার অবশ্যই পরিষ্কার ধারণা  থাকতে হবে। রেফারেন্স আপনার কাজের প্রশংসা করবে এ নিশ্চয়তা থাকতে হবে।
ক্লিন বলেছেন, তিনি একবার এক চাকরিপ্রার্থীর রেফারেন্সের কাছে ফোন করেছিলেন চাকরিপ্রার্থী সম্পর্কে কিছু জানার জন্য। রেফারেন্স জবাব দিয়েছিলেন, 'ওহ, ওই লোকটা? আমরা ওকে তিন বছর আগে ছাটাই করেছিলাম'। ঐ চাকরিপ্রার্থী শেষ পর্যন্ত চাকরিটি পাননি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন