চাকরির
জন্য ইন্টারভিউয়ের মুখোমুখি হওয়া অনেকের কাছে বিভীষিকা। তবে যারা এ
সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, তাদের কাছে ডালভাত। ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণের
ব্যবস্থা রয়েছে অনেক দেশে। সঠিকভাবে ইন্টারভিউ দেওয়া
নিয়ে নানারকম টিপস দেন তারা। এখানে ৫টি বিষয় দেওয়া হল, যে কাজগুলো ইন্টারভিউয়ে করলে আপনার প্রতি প্রশ্নকর্তা বা চাকরিদাতার বাজে মনোভাব তৈরি হবে। আর সে চাকরির আশা করা তো বাতুলতামাত্র। জেনে নিন এ সম্পর্কে প্রশিক্ষকদের মতামত ও পরামর্শ।
১. সাবেক বসকে নিয়ে নেতিবাচক কথা বলা: ইন্টারভিউয়ে একটি কৌশলী প্রশ্ন হলো, 'আপনি সাবেক বসকে কী উপদেশ দিবেন?' ফ্রি জব সার্চ ওয়েবসাইট ডট কমের সিইও এবং পেশা বিষয়ক পরামর্শক লি ইভানস বলেন, এই প্রশ্নটির উত্তরে আপনার বক্তব্য প্রশ্নকর্তাদের কাছে আপনার মনমানসিকতা ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় তুলে ধরবে। নেতিবাচক উত্তর দেওয়া হলে তো কথাই নেই। এতে বুঝে নেওয়া হবে যে, আপনার সাবেক বস যে কাজগুলো দিতেন তা আপনি করতে পারতেন না। তাছাড়া আপনার কৌশলী জবাব দেওয়ার সামর্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এ প্রশ্নে আপনি পেশাদার উত্তর দিন এবং এ ধরনের প্রশ্ন সম্পর্কে সজাগ থাকুন।
২. আমি সব বদলে ফেলবো: প্রশ্নকর্তা আপনাকে জিজ্ঞাসা করতেই পারেন, 'একজন কর্মী হিসেবে আপনি আমাদের প্রতিষ্ঠানের কী কী বদলে ফেলবেন?' জবাবে গঠনমূলক উত্তর দিন, বললেন আরেক পেশা বিষয়ক প্রশিক্ষক রোনাল্ড কফম্যান। কিন্তু আপনি যদি বলেন, আমি সব পরিবর্তন করে নতুন কিছু গড়ে তুলবো, তাহলে আপনাকে একজন উদ্ধত এবং বিনাশকারী ব্যক্তি বলে ধরে নেওয়া হবে। কারণ বাইরের একজন হয়ে আপনি এখনো জানেন না এই কম্পানির অবস্থা, সমস্যা বা পরিবর্তনের ক্ষেত্রগুলো কী হতে পারে। বরং হালকাভাবে ব্রিফিং করতে থাকুন এবং বোঝান যে, এ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সবকিছু আপনি এখনো জানেন না।
৩. প্রশ্নকারীকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করা: টেবিলের ওপারে আপনার বিপরীতে যিনি বসে ইন্টারভিউ নিচ্ছেন, তাকে আপনার পছন্দ হোক বা না হোক অথবা তার পোশাক ভাল লাগুক বা না লাগুক, এ নিয়ে আপনার মন্তব্য করা সাজে না। এমনকি তাকে খুশি করার জন্য 'আপনাকে খুব স্মার্ট দেখাচ্ছে' বললেও টেবিলের ওপারের মানুষটি বুঝে নিবেন যে, আপনি অভদ্র অথবা আচরণগত সামাজিক দেয়ালগুলো আপনি ভেঙে ফেলতে দ্বিধা করেন না। প্রসঙ্গের বাইরে অন্য কিছু বলতে পারেন। যেমন, এখানে আসার আগে রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম বা আবহাওয়ার অবস্থা ইত্যাদি।
৪. নিজের তুলনায় কম্পানিকে ছোট করে দেখা: যেখানে চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে গেছেন, সেখানে এমন আচরণ বা মন্তব্য করবেন না যেনো মনে হয় প্রতিষ্ঠানের চাহিদার তুলনায় আপনি অনেক বেশি যোগ্য। নিজের সামর্থ্য তুলে ধরতে গিয়ে অনেকেই এমন ভুল করে বসেন। এ আচরণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সাথে নিজের বিভেদ সৃষ্টি করা হয় বলে মনে করেন আরেক বিশেষজ্ঞ সেরিল পালমার। বরং এই প্রতিষ্ঠানের জন্য আপনিই সবচেয়ে যোগ্য, এমনভাবে নিজেকে তুলে ধরতে পারেন বলে পরামর্শ দিলেন তিনি।
৫. বিলম্বে উপস্থিত হওয়া: ইন্টারভিউয়ের জন্য নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট আগে উপস্থিত হোন। কিন্তু সময়ের চেয়ে দেরি করে পৌঁছানোটা দুই দিক থেকে আপনার সম্পর্কে বাজে ধারণার জন্ম দেবে চাকরিদাতার মনে। প্রথমত, চাকরি নিয়ে আপনার কোনো আগ্রহ নেই। দ্বিতীয়ত, সময়ানুবর্তিতায় আপনি ব্যর্থ। আর অযোগ্য প্রমাণিত হতে এ দুটি বিষয়ই যথেষ্ট। কাজেই সময়ের আগেই হাজির হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
নিয়ে নানারকম টিপস দেন তারা। এখানে ৫টি বিষয় দেওয়া হল, যে কাজগুলো ইন্টারভিউয়ে করলে আপনার প্রতি প্রশ্নকর্তা বা চাকরিদাতার বাজে মনোভাব তৈরি হবে। আর সে চাকরির আশা করা তো বাতুলতামাত্র। জেনে নিন এ সম্পর্কে প্রশিক্ষকদের মতামত ও পরামর্শ।
১. সাবেক বসকে নিয়ে নেতিবাচক কথা বলা: ইন্টারভিউয়ে একটি কৌশলী প্রশ্ন হলো, 'আপনি সাবেক বসকে কী উপদেশ দিবেন?' ফ্রি জব সার্চ ওয়েবসাইট ডট কমের সিইও এবং পেশা বিষয়ক পরামর্শক লি ইভানস বলেন, এই প্রশ্নটির উত্তরে আপনার বক্তব্য প্রশ্নকর্তাদের কাছে আপনার মনমানসিকতা ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় তুলে ধরবে। নেতিবাচক উত্তর দেওয়া হলে তো কথাই নেই। এতে বুঝে নেওয়া হবে যে, আপনার সাবেক বস যে কাজগুলো দিতেন তা আপনি করতে পারতেন না। তাছাড়া আপনার কৌশলী জবাব দেওয়ার সামর্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এ প্রশ্নে আপনি পেশাদার উত্তর দিন এবং এ ধরনের প্রশ্ন সম্পর্কে সজাগ থাকুন।
২. আমি সব বদলে ফেলবো: প্রশ্নকর্তা আপনাকে জিজ্ঞাসা করতেই পারেন, 'একজন কর্মী হিসেবে আপনি আমাদের প্রতিষ্ঠানের কী কী বদলে ফেলবেন?' জবাবে গঠনমূলক উত্তর দিন, বললেন আরেক পেশা বিষয়ক প্রশিক্ষক রোনাল্ড কফম্যান। কিন্তু আপনি যদি বলেন, আমি সব পরিবর্তন করে নতুন কিছু গড়ে তুলবো, তাহলে আপনাকে একজন উদ্ধত এবং বিনাশকারী ব্যক্তি বলে ধরে নেওয়া হবে। কারণ বাইরের একজন হয়ে আপনি এখনো জানেন না এই কম্পানির অবস্থা, সমস্যা বা পরিবর্তনের ক্ষেত্রগুলো কী হতে পারে। বরং হালকাভাবে ব্রিফিং করতে থাকুন এবং বোঝান যে, এ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সবকিছু আপনি এখনো জানেন না।
৩. প্রশ্নকারীকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করা: টেবিলের ওপারে আপনার বিপরীতে যিনি বসে ইন্টারভিউ নিচ্ছেন, তাকে আপনার পছন্দ হোক বা না হোক অথবা তার পোশাক ভাল লাগুক বা না লাগুক, এ নিয়ে আপনার মন্তব্য করা সাজে না। এমনকি তাকে খুশি করার জন্য 'আপনাকে খুব স্মার্ট দেখাচ্ছে' বললেও টেবিলের ওপারের মানুষটি বুঝে নিবেন যে, আপনি অভদ্র অথবা আচরণগত সামাজিক দেয়ালগুলো আপনি ভেঙে ফেলতে দ্বিধা করেন না। প্রসঙ্গের বাইরে অন্য কিছু বলতে পারেন। যেমন, এখানে আসার আগে রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম বা আবহাওয়ার অবস্থা ইত্যাদি।
৪. নিজের তুলনায় কম্পানিকে ছোট করে দেখা: যেখানে চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে গেছেন, সেখানে এমন আচরণ বা মন্তব্য করবেন না যেনো মনে হয় প্রতিষ্ঠানের চাহিদার তুলনায় আপনি অনেক বেশি যোগ্য। নিজের সামর্থ্য তুলে ধরতে গিয়ে অনেকেই এমন ভুল করে বসেন। এ আচরণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সাথে নিজের বিভেদ সৃষ্টি করা হয় বলে মনে করেন আরেক বিশেষজ্ঞ সেরিল পালমার। বরং এই প্রতিষ্ঠানের জন্য আপনিই সবচেয়ে যোগ্য, এমনভাবে নিজেকে তুলে ধরতে পারেন বলে পরামর্শ দিলেন তিনি।
৫. বিলম্বে উপস্থিত হওয়া: ইন্টারভিউয়ের জন্য নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট আগে উপস্থিত হোন। কিন্তু সময়ের চেয়ে দেরি করে পৌঁছানোটা দুই দিক থেকে আপনার সম্পর্কে বাজে ধারণার জন্ম দেবে চাকরিদাতার মনে। প্রথমত, চাকরি নিয়ে আপনার কোনো আগ্রহ নেই। দ্বিতীয়ত, সময়ানুবর্তিতায় আপনি ব্যর্থ। আর অযোগ্য প্রমাণিত হতে এ দুটি বিষয়ই যথেষ্ট। কাজেই সময়ের আগেই হাজির হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন