আমি
একবার কেরানি পদের ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য গিয়েছি। এক মহিলা আসলেন। তার
সিভিটা দেখেই বললেন হ্যা ঠিক আছে এরপর তিনি নিজে অপরাধী এই মর্মে একটা পত্র
লিখতে শুরু করলেন। এরপর তিনি বললেন আমি মুহূর্তে পাগলা হয়ে গেছি এখন আমি
একজন খুনিকে ভাড়া করেছি। এখন আমি
আমার সাবেক স্বামীকে হত্যা করবো। একদম শেষ মিনিটে এসে বললেন আমি ওইসব চিন্তা বাদ দিয়েছি সে জীবিতই আছে। জানালেন যে তিনি এখন চিকিৎসাধীন আছেন। মজার ব্যাপার হলো তিনি তার অবস্থান থেকে ইন্টারভিউ ভালোই দিয়েছেন।
আমার সাবেক স্বামীকে হত্যা করবো। একদম শেষ মিনিটে এসে বললেন আমি ওইসব চিন্তা বাদ দিয়েছি সে জীবিতই আছে। জানালেন যে তিনি এখন চিকিৎসাধীন আছেন। মজার ব্যাপার হলো তিনি তার অবস্থান থেকে ইন্টারভিউ ভালোই দিয়েছেন।
কাজের ধরন জেনে নিতে হবে
আমাদের কল সেন্টারের কাস্টমার সার্ভিসে হলিডেগুলোর জন্য আমরা নিশ্চিত হয়েই কিছু মজার কর্মী নিয়োগ দেই। এক দিন দুজন মদ্যপ এলো আলাদা আলাদাভাবে। একজনের আবার গায়ে মহিলাদের পোষাক। তো তার ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন আমার এক সহকর্মী। একজন আমাকে বলে উঠলো 'কিসের এইসব ইন্টারনেট? ঘৃণা করি ইন্টারনেট, ঘৃণা করি এই সব শপিং এর পদ্ধতি। অথচ তার কাজ কি হতো জানেন? তার কাজ হতো ইন্টারনেট শপিং নিয়ে ক্রেতাকে সহায়তা করা।
উপযুক্ত কতটা আমি একটা বাণিজ্যিক স্কুলের প্রশিক্ষক ছিলাম। আমি ফেলোবটোমিস্টদের (ক্লিনিক, হাসপাতালে যারা রক্ত গ্রহণ করে) প্রশিক্ষণ দিতাম। একদিন একজন ইন্টারভিউ দিতে এলো। আমি যখন তাকে জিজ্ঞেস করলাম রক্ত গ্রহণের এই কাজ আপনি কেমন উপভোগ করেন? তার উত্তর- সত্যিই আমি সুঁচ পছন্দ করি না।
মুঠোফোন যখন অভিশাপ
একবার 'মর্টগেজ সেলস পজিশন' এর জন্য ইন্টারভিউ নিয়েছিলাম। একজন সুদর্শনা নারী আসলো ইন্টারভিউ দিতে। তার কাজের অভিজ্ঞতাও যথেষ্ট। পোশাক পরিচ্ছদও ছিল খুবই মার্জিত। টানা ২০ মিনিট ইন্টারভিউ অতিক্রম করার সময় তার মুঠোফোন বেজে ওঠে। এ সময় সেই নারী মুঠোফোন রিসিভ করেই তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলা শুরু করে। সে প্রায় এক মিনিটের মত কথা বলে। আমি তার এই আচরণে বিস্মিত হয়ে বললাম আপনার ইন্টারভিউয়ের সময় শেষ। তিনি কোনভাবেই বুঝতে চাইছিলেন না যে তার সময় কিভাবে শেষ হলো।
আমি একজন প্রার্থীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কেন আপনি আপনার বর্তমান চাকরিটা ছাড়তে চাচ্ছেন। এই কথার প্রতিউত্তরে তিনি টানা তার বসের চোদ্দগুষ্টি উদ্ধার করলেন। এরপর তিনি তার বসের নাম আমাকে বললেন। আমি বিস্ময় নিয়ে লক্ষ্য করলাম তার বস আমার ১২ বছরের গলফ খেলার পার্টনার। পার্টনার হিসেবে তিনি অমায়িক এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীলও। যখন আমি তাকে বললাম আমি তো আপনার বসকে চিনি তখন সাথে সাথে সেই প্রার্থীর মুখে রক্ত জমে গেলো। এটা খুবই সাধারণ ব্যাপার যে তাকে আমি চাকরি দেইনি।
থাকতে হবে সৎ উদ্দেশ্য আমি সব সময় খুব ভালো করে সিভি পড়ে দেখি। একদিন একটা সিভিতে দেখলাম প্রার্থী তার চাকরি পরিবর্তন করে একটা খাদ্যপ্রতিষ্ঠান থেকে করপোরেট আমেরিকায় আসতে চান। কিন্তু তার সিভিতে লেখা "To get out of the kitchen!" বিদ্রুপের সাথে চাকরি? একটা কাস্টমার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের জন্য এক তরুণের ইন্টারভিউ নিচ্ছিলাম। সে একটা নাপিতের দোকানে কাজ করতো। তার কাজ সে বুঝিয়ে বললো। এরপরে সে বলে কি আমার আগের 'মুরগি'দের এখানে নিয়ে আসবে! বলাই বাহুল্য তাকে শুরুতেই বাদদোয়া হয়েছে।
অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রেও চিন্তাকরতে হবে
একদিন একটি শোধনাগার প্রতিষ্ঠানের ইন্টারভিউ বোর্ডে বসে আছি। এক তরুণ আসলো ইন্টারভিউ দিতে। দারুনভাবে সে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সে তার মধ্যে স্নায়ুবিক উত্তেজনা দেখা যাচ্ছিল। তার চোখে মুখে উজ্জ্বলতা দেখা যাচ্ছিল। ইন্টারভিউ শেষের দিকে তাকে বললাম আপনাকে মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দিতে হবে, ড্রাগ স্ক্রিনের রিপোর্ট দিতে হবে। এই কথা শুনে সে কিছুটা ভড়কে গেল। জিজ্ঞেস করলো কেন? আমি বললাম আপনার আচরণ দেখে মনে হলো এটা প্রয়োজন। আপনার কিছু স্বাভাবিকতার কারণে এটা চাচ্ছি। সে কিছু বলতে চাচ্ছিলো। তাকে সুযোগ দিলাম। সে বললো আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে আমি ইন্টারভিউ দিতে এসেছি। যখন আমরা বললাম আপনি তো আমাদেরকে ফোন করে নতুনভাবে ইন্টারভিউ এর তারিখ নির্ধারণ করে নিতে পারতেন? সে বললো তার চাকরিটা দরকার। এখন আপনার স্ত্রী কেমন আছেন? এই প্রশ্নের জবাবে সে জানিয়েছিল তার স্ত্রী ভালো আছে দ্বিতীয় বাচ্চার পৃথিবীতে এসেছে। সে হাসপাতালে তার স্ত্রীকে বলে এসেছিলো 'ভালো থেকো' আমাকে যেতে হচ্ছে কারণ চাকরিটা আমার খুবই দরকার।
আমাদের কল সেন্টারের কাস্টমার সার্ভিসে হলিডেগুলোর জন্য আমরা নিশ্চিত হয়েই কিছু মজার কর্মী নিয়োগ দেই। এক দিন দুজন মদ্যপ এলো আলাদা আলাদাভাবে। একজনের আবার গায়ে মহিলাদের পোষাক। তো তার ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন আমার এক সহকর্মী। একজন আমাকে বলে উঠলো 'কিসের এইসব ইন্টারনেট? ঘৃণা করি ইন্টারনেট, ঘৃণা করি এই সব শপিং এর পদ্ধতি। অথচ তার কাজ কি হতো জানেন? তার কাজ হতো ইন্টারনেট শপিং নিয়ে ক্রেতাকে সহায়তা করা।
উপযুক্ত কতটা আমি একটা বাণিজ্যিক স্কুলের প্রশিক্ষক ছিলাম। আমি ফেলোবটোমিস্টদের (ক্লিনিক, হাসপাতালে যারা রক্ত গ্রহণ করে) প্রশিক্ষণ দিতাম। একদিন একজন ইন্টারভিউ দিতে এলো। আমি যখন তাকে জিজ্ঞেস করলাম রক্ত গ্রহণের এই কাজ আপনি কেমন উপভোগ করেন? তার উত্তর- সত্যিই আমি সুঁচ পছন্দ করি না।
মুঠোফোন যখন অভিশাপ
একবার 'মর্টগেজ সেলস পজিশন' এর জন্য ইন্টারভিউ নিয়েছিলাম। একজন সুদর্শনা নারী আসলো ইন্টারভিউ দিতে। তার কাজের অভিজ্ঞতাও যথেষ্ট। পোশাক পরিচ্ছদও ছিল খুবই মার্জিত। টানা ২০ মিনিট ইন্টারভিউ অতিক্রম করার সময় তার মুঠোফোন বেজে ওঠে। এ সময় সেই নারী মুঠোফোন রিসিভ করেই তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলা শুরু করে। সে প্রায় এক মিনিটের মত কথা বলে। আমি তার এই আচরণে বিস্মিত হয়ে বললাম আপনার ইন্টারভিউয়ের সময় শেষ। তিনি কোনভাবেই বুঝতে চাইছিলেন না যে তার সময় কিভাবে শেষ হলো।
আমি একজন প্রার্থীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কেন আপনি আপনার বর্তমান চাকরিটা ছাড়তে চাচ্ছেন। এই কথার প্রতিউত্তরে তিনি টানা তার বসের চোদ্দগুষ্টি উদ্ধার করলেন। এরপর তিনি তার বসের নাম আমাকে বললেন। আমি বিস্ময় নিয়ে লক্ষ্য করলাম তার বস আমার ১২ বছরের গলফ খেলার পার্টনার। পার্টনার হিসেবে তিনি অমায়িক এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীলও। যখন আমি তাকে বললাম আমি তো আপনার বসকে চিনি তখন সাথে সাথে সেই প্রার্থীর মুখে রক্ত জমে গেলো। এটা খুবই সাধারণ ব্যাপার যে তাকে আমি চাকরি দেইনি।
থাকতে হবে সৎ উদ্দেশ্য আমি সব সময় খুব ভালো করে সিভি পড়ে দেখি। একদিন একটা সিভিতে দেখলাম প্রার্থী তার চাকরি পরিবর্তন করে একটা খাদ্যপ্রতিষ্ঠান থেকে করপোরেট আমেরিকায় আসতে চান। কিন্তু তার সিভিতে লেখা "To get out of the kitchen!" বিদ্রুপের সাথে চাকরি? একটা কাস্টমার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের জন্য এক তরুণের ইন্টারভিউ নিচ্ছিলাম। সে একটা নাপিতের দোকানে কাজ করতো। তার কাজ সে বুঝিয়ে বললো। এরপরে সে বলে কি আমার আগের 'মুরগি'দের এখানে নিয়ে আসবে! বলাই বাহুল্য তাকে শুরুতেই বাদদোয়া হয়েছে।
অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রেও চিন্তাকরতে হবে
একদিন একটি শোধনাগার প্রতিষ্ঠানের ইন্টারভিউ বোর্ডে বসে আছি। এক তরুণ আসলো ইন্টারভিউ দিতে। দারুনভাবে সে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সে তার মধ্যে স্নায়ুবিক উত্তেজনা দেখা যাচ্ছিল। তার চোখে মুখে উজ্জ্বলতা দেখা যাচ্ছিল। ইন্টারভিউ শেষের দিকে তাকে বললাম আপনাকে মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দিতে হবে, ড্রাগ স্ক্রিনের রিপোর্ট দিতে হবে। এই কথা শুনে সে কিছুটা ভড়কে গেল। জিজ্ঞেস করলো কেন? আমি বললাম আপনার আচরণ দেখে মনে হলো এটা প্রয়োজন। আপনার কিছু স্বাভাবিকতার কারণে এটা চাচ্ছি। সে কিছু বলতে চাচ্ছিলো। তাকে সুযোগ দিলাম। সে বললো আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে আমি ইন্টারভিউ দিতে এসেছি। যখন আমরা বললাম আপনি তো আমাদেরকে ফোন করে নতুনভাবে ইন্টারভিউ এর তারিখ নির্ধারণ করে নিতে পারতেন? সে বললো তার চাকরিটা দরকার। এখন আপনার স্ত্রী কেমন আছেন? এই প্রশ্নের জবাবে সে জানিয়েছিল তার স্ত্রী ভালো আছে দ্বিতীয় বাচ্চার পৃথিবীতে এসেছে। সে হাসপাতালে তার স্ত্রীকে বলে এসেছিলো 'ভালো থেকো' আমাকে যেতে হচ্ছে কারণ চাকরিটা আমার খুবই দরকার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন